কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে
নিহতদের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে কেন্দ্রিয় শহীদ
মিনার স্থাপন করা হয় ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে শহীদ সফিউর রহমানের পিতা এটির ফলক
উন্মোচন করেন ।
কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের স্থপতি ‘হামিদুর রহমান’ ।
তিন নেতার স্মৃতি সৌধ : কার্জন হল সংলগ্ন দোয়েল
চত্তরের পাশে ‘তিন নেতার স্মৃতি সৌধ স্থাপিত । এখানে শায়িত তিন জন নেতারা হলেন (১)
শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক (২) হোসেন শহিদ শোহরাওয়ার্দী ও (৩) খাজা নাজিম উদ্দিন ।
তিন নেতা স্মৃতি সৌধ এর স্থপতি ‘মাসুম আহমেদ’ ।
জাগ্রত চৌরংগী : জাগ্রত
চৌরংগী গাজীপুরের চৌরাস্তায় অবস্থিত । এটির স্থাপক ‘আব্দুর রাজ্জাক । ১৯৬৯ সালের
গন অভ্যুত্থানের সময় নিহত শহীদ হুরমত উল্লাহকে উৎসর্গ করে এটির স্থাপন করা হয় ।
মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ : ২৩টি
স্তম্ভ বিশিষ্ট এই স্মৃতি সৌধটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনেগরে অবস্থিত । ১৯৭১ সালে
অস্থায়ী সরকারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটির নির্মাণ করা হয় ।
মুজিবনগর সৃতিসৌধের স্হপতি ‘তানভীর কবির’ ।
বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারা : ১১ফুট
উচ্চতা সম্পন্ন এই স্থাপনাটির রয়েছে ৭টি পাপড়ি যা ৭জন বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি বহন
করছে । রাজধানী ঢাকার গুলস্থানে এটি অবস্থিত । ৪ মার্চ ২০০০ সালে এটির উদ্বোধন করা
হয় । এটির সিরাজুল ইসলাম ও মঈনুল ইসলামের নকশায় তৈরি করা হয় । এটির স্থপতি সিরাজুল
ইসলাম ।
অপরাজেয় বাংলা : ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে স্থাপিত এই ভাস্কর্যটির স্থাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ
খালেদ । এটি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার নারী ও পুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের ও
বিজয়ের প্রতীক স্বরুপ নির্মিত । ১৯৭৪ সালে কাজ শুরু করে ১৯৭৫-এর পট পরিবর্তনের পর
কিছুদিন বন্ধ থেকে ১৯৭৮ সালে পুনরায় কাজ শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মাসে
উদ্বোধন করা হয় । এই ভাস্কর্যটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য । এটির নির্মাণ বৈশিষ্ট, ৬ফুট উঁচু মূল ভাস্কর্য়টির মোট
উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট । অজ্ঞাত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এটির
নির্মাণ করেন ।