মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৩

বাংলাদেশের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য সমুহ :


কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহতদের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয় ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে শহীদ সফিউর রহমানের পিতা এটির ফলক উন্মোচন করেন ।
কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের স্থপতি ‘হামিদুর রহমান’ ।
তিন নেতার স্মৃতি সৌধ : কার্জন হল সংলগ্ন দোয়েল চত্তরের পাশে ‘তিন নেতার স্মৃতি সৌধ স্থাপিত । এখানে শায়িত তিন জন নেতারা হলেন (১) শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক (২) হোসেন শহিদ শোহরাওয়ার্দী ও (৩) খাজা নাজিম উদ্দিন ।
তিন নেতা স্মৃতি সৌধ এর স্থপতি ‘মাসুম আহমেদ’ ।
জাগ্রত চৌরংগী : জাগ্রত চৌরংগী গাজীপুরের চৌরাস্তায় অবস্থিত । এটির স্থাপক ‘আব্দুর রাজ্জাক । ১৯৬৯ সালের গন অভ্যুত্থানের সময় নিহত শহীদ হুরমত উল্লাহকে উৎসর্গ করে এটির স্থাপন করা হয় ।
মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ : ২৩টি স্তম্ভ বিশিষ্ট এই স্মৃতি সৌধটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনেগরে অবস্থিত । ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটির নির্মাণ করা হয় ।
মুজিবনগর সৃতিসৌধের স্হপতি ‘তানভীর কবির’ ।
বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারা : ১১ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই স্থাপনাটির রয়েছে ৭টি পাপড়ি যা ৭জন বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি বহন করছে । রাজধানী ঢাকার গুলস্থানে এটি অবস্থিত । ৪ মার্চ ২০০০ সালে এটির উদ্বোধন করা হয় । এটির সিরাজুল ইসলাম ও মঈনুল ইসলামের নকশায় তৈরি করা হয় । এটির স্থপতি সিরাজুল ইসলাম ।
অপরাজেয় বাংলা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে স্থাপিত এই ভাস্কর্যটির স্থাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ । এটি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার নারী ও পুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের ও বিজয়ের প্রতীক স্বরুপ নির্মিত । ১৯৭৪ সালে কাজ শুরু করে ১৯৭৫-এর পট পরিবর্তনের পর কিছুদিন বন্ধ থেকে ১৯৭৮ সালে পুনরায় কাজ শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয় । এই ভাস্কর্যটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য । এটির নির্মাণ বৈশিষ্ট, ৬ফুট উঁচু ম‍ূল ভাস্কর্য়টির মোট উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট । অজ্ঞাত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এটির নির্মাণ করেন ।

বাংলাদেশের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য সমুহ :

জাতীয় স্মৃতি সৌধ : ‘জাতীয় স্মৃতি সৌধ’ ঢাকার সাভারে অবস্থিত ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এটির উদ্বোধন করেন । জাতীয় সৃতি সৌধ কে ‘একটি সম্মিলিত প্রয়াস’ নামে অভিহিত
করা হয় । ১০৯ একর জায়গার ওপর এটি নির্মাণ করা হয় । এর প্রতিষ্ঠাতা ‘মঈনুল হোসেন’ । ৭টি ফলক বিশিষ্ট জাতীয় স্মৃতি সৌধের উচ্চতা
৪৬.৫ মিটার বা ১৫০ ফুট । স্বাধীনাতা আন্দলনের সাতটি পর্যায়ের নিদর্শন স্বরুপ এই ৭টি ফলক, পর্যায় গুলো হল (১) ৫১ এর ভাষা আন্দোলন (২) ৫৪ এর
নির্বাচন (৩) ৫৮ এর সামরিক শাষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (৪)৬২ এর শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন (৫) ৬৬ এর ৬দফা ও (৭) ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ।জাতীয়
স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গনে ১০টি গনকবর দেয়া আছে ।

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহুর নামে শুরু করলাম সাধারণ জ্ঞান সমৃদ্ধ আমার প্রথম ব্লগ । আশা করি আমার সাথে ‍থাকবেন । আমি তেমন কিছু জানিনা যতটুকু জানি তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যই আমার এই প্রয়াস ।